ফাইল ছবি
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী লম্পট শিক্ষকের লালসার শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুজ্জামানকে আটক করেছে। আটক নরুজ্জামান এনায়েতপুর থানার মাঝগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকের এমন কান্ডে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে মাঝগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক নুরুজ্জামান ছুটি শেষে স্কুলে থাকতে বলে। পরে ওই ছাত্রীকে লম্পট শিক্ষক ক্লাস রুমের ভিতরেই মুখ চেপে ধর্ষণ করে। এসময় ছাত্রীটি কান্নাকাটি করলে শিক্ষক নুরুজ্জামান তাকে ১শ’ টাকা দেন এবং ঘটনাটি কাউকে বললে তার বাবা-মাকে হত্যা করা হবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ভয়ে শিশুটি কাউকে ঘটনাটি বলেনি। এ অবস্থায় কয়েকদিন আগে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাবা-মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে পরীক্ষায় মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়। এসময় মেয়েটি বাবা-মার কাছে শিক্ষকের ঘটনাটি খুলে বলে। চার সন্তানের জনক একজন শিক্ষকের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা জানাজানি হবার পর এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় ও মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
নির্যাতিতা ছাত্রী জানায়, ‘স্কুল ছুটির পর নুরুজ্জামান স্যার ক্লাসে মুখ চেপে ধরে নির্যাতন করে। পরে ১০০ টাকা দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য বলে। বললে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়।’ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুখছানা ইসলাম জয়া জানান, ‘এ ঘটনার সুষ্ঠ ও ন্যায় বিচার নিশ্চিতে নির্যাতিতা ওই স্কুল ছাত্রীকে আমাদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার আইনি সহায়তা দেয়া হবে।’ এনায়েতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
স্বপ্নচাষ/এসএস
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ৩০ মে ২০২০
swapnochash24.com | swapno chash