নিত্যপণ্যের দাম ক্রমেই মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। গত এক যুগের মধ্যে এখন মূল্যস্ফীতির দৌরাত্ম্য সীমা অতিক্রম করছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোঁয়ায়।
এমনকি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের মূল্যায়নেও খাদ্যপণ্য ও বাসা ভাড়া ব্যয়ে লাগাম টানার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে না পারলে মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো যাবে না। যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তিকে আরও অসহনীয় করে তুলবে।
সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় হুহু করে বাড়ছে। একই সঙ্গে যোগ হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত বাসা ভাড়া।
দেশের শহরাঞ্চলের মানুষের আয়ের বেশির ভাগ অংশই চলে যায় বাসা ভাড়া দিতে। একইভাবে বেড়েছে খাওয়া খরচও। করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্য ব্যয়ও বেড়েছে কয়েক গুণ। এজন্য বাসা ভাড়া ও খাদ্যপণ্যের বাজারে লাগাম টানার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। সম্প্রতি আইএমএফের একটি দল বাংলাদেশ সফর করে ফিরে যাওয়ার সময় সরকারের বাজেট বাস্তবায়ন, করোনা-পরবর্তী অর্থনীতি, সামষ্টিক অর্থনীতি, ব্যাংকিং খাত, বাজারমূল্য পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য ব্যয়, করোনার টিকাসহ সামগ্রিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগের কাছে মূল্যায়ন প্রতিবেদন দিয়ে যায়। তাতে শহরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় তা মূল্যস্ফীতি উসকে দিচ্ছে বলে অভিমত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়। ফেব্রুয়ারিতে শুধু ভোজ্য তেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ১০ টাকা। ডাল, চিনি, ডিম, মাছ, মাংস সবকিছু মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যও তা হুমকি সৃষ্টি করছে; যা নিয়ন্ত্রণে সরকার দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।
স্বপ্নচাষ/একে
বাংলাদেশ সময়: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
swapnochash24.com | swapno chash