করোনা আবহে হঠাৎই ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দোষারোপ পাল্টা দোষারোপে সরগরম দুই প্রতিবেশী দেশের কূটনীতি। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, অযথা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তে সেনা কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে চীন, যা প্ররোচনামূলক এবং নিন্দনীয়।
উল্লেখ্য, সোমবার আকসাই চীন এলাকার গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ পরিকাঠামো গড়ে তোলার অভিযোগ এনেছে বেইজিং। নয়াদিল্লিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে ‘কড়া জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন।
অথচ, কিছুদিন আগে সিকিমের নাকু লা সেক্টরে টহলদারি চালানোর সময় ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে অনু্প্রবেশ করে তারা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান কর্তব্যরত ভারতীয় সেনারা। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এর ফলে জীনের সাতজন সেনা ও চারজন ভারতীয় সেনা সামান্য জখম হন। কয়েকদিন আগেই লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর হানা দিয়েছিল চীনা বাহিনীর হেলিকপ্টার। সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিহত করতে ছুটে যায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর অত্যাধুনিক সুখোই যুদ্ধবিমান। এ ধরনের কার্যকলাপ চালানোর পর আবার চীনারাই ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ করেছে।
বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘সমস্ত ভারতীয় কর্মকাণ্ড প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control)-এর ভিতরে থাকা ভারতের সীমান্তের মধ্যেই হয়। কিন্তু, কয়েকদিন ধরে চীনের দিক থেকেই ভারতীয়দের দৈনন্দিন টহলদারির কাজে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
ভারতের সেই অবস্থানকেই সমর্থন করল আমেরিকা। হোয়াইট হাউস বলছে, বেইজিং নিজেদের নেতার সেনা আগ্রাসন বিরোধী অবস্থানই মানছে না। বেইজিংয়ের কার্যকলাপ চীনের সেই দাবি খণ্ডন করছে, যে তারা সেনা কার্যকলাপ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাজে বাধা দানের পরিপন্থী। সীমান্তে সেনা এবং আধাসেনা কার্যকলাপ চালিয়ে বেইজিং নিজেদেরই দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে এবং প্রতিবেশীদের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে না,যা প্ররোচনামূলক এবং উসকানিমূলক।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ১:৩৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ মে ২০২০
swapnochash24.com | swapno chash